আমদের যাদের জামদানীর ব্যাপারে অভিজ্ঞতা কম তাদের অনেকেই জামদানী কিনতে গেলে যে ভুল টা করি তাহলো জামদানীর কালার এবং ডিজাইন দেখেই মনে মনে একটা প্রাইসিং ঠিক করে ফেলি।যেমন অমুকের এই কালার এবং এই সেইম নকশার একটা জামদানী শাড়ি আছে,ওটার দাম এতো ছিলো, তারমানে এটার দামও সেইম।অর্থাত ওটা এবং এটা সেইম জামদানী।
কিন্তু না,জামদানী কখনো সেইম হয়না।মানুষের গর্ভে জন্ম নেয়া প্রতিটি বাচ্চা যেমন ইউনিক তেমনি তাঁতীর হাতে বুনা প্রতিটি শাড়ি ইউনিক।একটার সাথে অন্য টার এক্টু হলেও তফাৎ থাকবে।কারণ এটা হাতে বুনা,মেশিনের তৈরি নয়।
আসুন দেখে নিই জামদানীর প্রাইসিং টা কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করেঃ
১.সুতা- সুতি/ রেশম…কালার এবং নকশা একই হলেও সুতার ভিন্নতায় দাম কম/ বেশি হয়।
২.বাইন- বাইনের ডেনজিটির উপর দাম নির্ভর করে।ডেনজিটি বেশি প্রাইস বেশি।
৩.নকশা – নকশার ঘনত্ব বেশি হলে দাম বেশি হবে।অনেক জামদানীর বডিতে যে পরিমান নকশা হয়,কুচি তে হয়না।কিন্তু জামদানীর ভাজ এমন ভাবে থাকে যে কুচির কাজ দেখা যায়না।সেক্ষেত্রে শুধু একপার্ট দেখে অন্য জামদানীর সাথে তুলনা করা বোকামি।
৪. ঘুরি- যেখান থেকে শাড়ি শুরু হয়ে সেখান থেকে শাড়িতে কাজ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত অংশ টা কে ঘুরি বলে।ঘুরির প্রশস্ততার উপর দাম নির্ভর করে।ঘুরি কম দাম বেশি।
৫.আঁচল – আঁচল এ নকশার ঘনত্ব /ভিন্নতা যতো বেশি হবে প্রাইস ততো বেশি হবে।
৬.পাড়- সিংগেল পাড়ে প্রাইস কম। ডাবল পাড়ে বেশি।পাড়ের কাজের ভিন্নতাও প্রাইসিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এগুলো ছাড়াও জরি কাজের শাড়ির প্রাইস বেশি হয়।তবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটা শাড়ি তৈরি করতে কারিগর এর কতোদিন সময় লেগেছে তার উপর নির্ভর করে প্রাইসিং হয়।
এগুলোর প্রত্যেকটি ইস্যু নিয়ে আলাদা একটা করে আর্টিকেল লিখার ইচ্ছে আছে আমার। ইনশাআল্লাহ বিস্তারিত লিখবো আস্তে ধীরে।
জামদানীর যাত্রা শুভ হোক
ধন্যবাদ
Kakoly’s Attire ?